রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় মোকাররম হোসেনকে বহিষ্কার করেছিল বিএনপি। এরপরও তিনি নির্বাচনের মাঠে আওয়ামী লীগ নেতাকে পরাজিত করে জয়ী হন। কিন্তু পরাজিত প্রার্থী আদালতে মামলা করায় আটকে যায় শপথ। আইনি লড়াই শেষে নির্বাচনে জয়ের ৮২ দিন পর আজ সোমবার সকালে শপথ নেন তিনি। এরপরও তাঁর চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসা হয়নি।

মোকাররম হোসেন আজ বেলা ১১টায় রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এরপর গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদে পৌঁছানোর আগেই জানতে পারেন, সরকারি এক প্রজ্ঞাপনে দেশের ৪৯৩ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে নিজ নিজ পদ থেকে অপসারণ করা হয়। এর মধ্যে গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদও আছে। বিষয়টি রংপুরে বেশ আলোচিত হয়ে উঠেছে।

গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ শেষে কাগজপত্রে সাক্ষর করছেন মোকাররম হোসেন। আজ সোমবার সকালে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে
গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ শেষে কাগজপত্রে সাক্ষর করছেন মোকাররম হোসেন। আজ সোমবার সকালে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে মোকাররম হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘শপথ নিয়ে কয়েক ঘণ্টার জন্য তো চেয়ারম্যান হয়েছি।’

গত ২৯ মে তৃতীয় ধাপে গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লাগের সভাপতি রুহুল আমিনকে ৮৩৩ ভোটে পরাজিত করেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মোকাররম হোসেন। ৪ জুন গেজেট প্রকাশিত হয়। ৩ জুলাই শপথের দিন ধার্য করা হয়।

এদিকে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে গত ১৩ জুন শপথের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল জেলা যুগ্ম জজ আদালত-১–এ মামলা করেন পরাজিত প্রার্থী রুহুল আমিন। ২৩ জুন শপথের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেন আদালতের বিচারক মো. আবদুল মালেক। নিষেধাজ্ঞার কারণে তিনি ওই সময় শপথ নিতে পারেননি। তবে ১৪ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে শপথ গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে রোববার রংপুর বিভাগের স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক রিয়াজ উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় শপথ গ্রহণের সময় ধার্য করা হয়। সেই অনুযায়ী আজ সোমবার বেলা ১১টায় বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার মো. জাকির হোসেন। শপথের কয়েক ঘণ্টা পর অপসারণের প্রজ্ঞাপনে আসে।

By editor

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *