বন্ধুকে রক্ত দিতে যাওয়ার পথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। আটক কৃত শিক্ষার্থীর নাম মো. আবু সাঈদ রাফী। সে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। গত ২৯ জুলাই তাকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে বিস্ফোরণ মামলায় তাকে জেলে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ তাকে মিথ্যা মামলায় আটক করা হয়েছে এবং বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও জামিন করাতে পারছেন না।

রাফিকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাফির বোন শামীমা আক্তার বন্যা বলেন, রাফি নিয়মিতই রক্ত দান করতেন। ২৯ জুলাই বন্ধুকে রক্ত দিতে যাচ্ছিলেন। পথেই তাকে আটক করা হয়। আমরা খবর পেয়ে থানায় যাই। রাফি আমাদের বলেছে, পথে প্রথমে তার মোবাইল চেক করে পুলিশ। ফোনে তারা গুলিবিদ্ধ হওয়ার এক্সরে রিপোর্ট দেখতে পায়। এরপরই তাকে আটক করে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, রাফি কখনও কোনো রাজনৈতিক দলে জড়িত ছিল না। আমরা তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য কর্তব্যরত অফিসারকে অনেক অনুরোধ করেছি। কিন্তু আমাদের কোনো কথাই শোনা হয়নি। ৩০ জুলাই তাকে থানা থেকে কোর্টে পাঠায় এবং কোর্ট জেলখানায় পাঠায়। পরে তার মামলার নথি বের করে সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে দেখি পুলিশ নাকি তার সাথে ৩টি ককটেল পেয়েছে। তাকে সম্পূর্ণভাবে একটি মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।
রাফির মামলার নথির তথ্য অনুযায়ী, তাকে বিস্ফোরক আইনের ৪ এবং ৬ ধারার অধীনে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, তার কলেজ ব্যাগ থেকে সাদা কসটেপ দ্বারা মোড়ানো ৩টি ককটেল সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধারের দাবি করা হয়েছে।

এর আগে, গত ১৮ জুলাই কুমিল্লার কোটবাড়ি বিশ্বরোডে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন রাফি। সেখানেই পুলিশের ছররা গুলিতে আহত হন। এসময় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ১১ টি পিলেট লাগে। ঐ দিন অপারেশন করে ৯ টি পিলেট বের করা হয়। পরবর্তীতে ২৭ তারিখ এক্সরে করে পিলেটের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বাকি ২ টি পিলেট বের করা হয়।

By editor

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *