মশা তাড়ানোর সবচেয়ে উপকারী হাতিয়ার ! – Bdeshi News

মশা তাড়ানোর সবচেয়ে উপকারী হাতিয়ার !

এখন আতঙ্কের নাম ‘ডেঙ্গু’। বিশেষ করে শিশু, গর্ভবতী নারী কিংবা বৃদ্ধ আছেন, তাদের নিয়ে ভয় আরও বেশি। স্প্রে, কয়েলের মতো বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারে মশার আক্রমণ কমে গেলেও তাতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে। মশা, মাছি তাড়ানোর প্রাচীন একটি পদ্ধতি হলো ধূপ। বাসায় প্রতিদিন দুই বা তিনবেলা ধূপ দিলে মশার উপদ্রব কমে যায়। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি হয় বলে ধূপের ধোঁয়া শরীরের কোনো ক্ষতি করে না।

যেভাবে ধূপ জ্বালাবেন

বাজার থেকে ধূপদানি, নারকেলের আঁশ ও ধূপ গুঁড়া কিনতে হবে সাধ্যের মধ্যেই কেনা সম্ভব।

বাজারে দুই ধরনের ধূপদানি পাওয়া যায়। একটি মাটি দিয়ে তৈরি এবং অন্যটি পিতলের। পিতলের তৈরি ধূপদানির দাম একটু বেশি, তবে অনেক দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।

ধূপদানিতে তিন বা চার টুকরো নারকেলের আঁশ দিতে হবে। এরপর দিয়াশলাই দিয়ে নারকেলের আঁশে আগুন ধরিয়ে তাতে ১ চা চামচ পরিমাণ ধূপের গুঁড়া দিতে হবে। প্রচুর ধোঁয়া হবে ও সুন্দর গন্ধ পাওয়া যাবে।

ধূপ জ্বালানোর পর প্রথম ৫ মিনিট ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে। এরপর জানালা খুলে দিন। এতে ঘরের মশা চলে যাবে।

মশার আক্রমণ থেকে রেহাই পেতে ধূপ বেশ কার্যকর। প্রতিদিন সকাল ও বিকালে ঘরে ধূপ দেওয়া ভালো।

সতর্কতা জরুরি

ধূপের আগুন মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। তাই এ ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে। ধূপ জ্বালানোর পর ধূপদানি কাপড় কিংবা তুলাজাতীয় জিনিস থেকে অনেক দূরে রাখতে হবে। ধূপদানির জন্য ফাঁকা জায়গা নির্বাচন করা ভালো।

ধূপ জ্বালানোর আগে ঘরের ফ্যান বন্ধ করতে হবে। ফ্যানের বাতাসে ধূপের আগুন ঘরের চারপাশে উড়ে গেলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ধূপের আগুন ভালোভাবে নিভে গেলে ফ্যান ছাড়তে হবে।

ধূপের ধোঁয়ায় অনেক সময় শিশুদের চোখ জ্বালা করতে পারে। তাই ধোঁয়া থেকে শিশুদের দূরে রাখুন।

২০-২৫ মিনিটের বেশি ধূপ জ্বালিয়ে না রাখাই ভালো। এতে ঘরে ধোঁয়াটে ভাব চলে আসে।

ধূপদানি শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

Leave a Comment